মাতা-পিতার প্রতি কর্তব্য রচনা (৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির জন্য)


 

প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমাদের জন্য সহজ ভাষায় “মাতা-পিতার প্রতি কর্তব্য” রচনাটি তৈরি করেছি। এই রচনাটি ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত এবং পরীক্ষায় ফুল মার্ক পাওয়ার মত করে লেখা হয়েছে।

মাতা-পিতার প্রতি কর্তব্য রচনা — ৩য় শ্রেণি

মা-বাবা আমাদের সবচেয়ে আপনজন।
তারা আমাদের ভালোবাসেন, খাওয়ান, পরান এবং স্কুলে পাঠান। মা ঘরের কাজ করেন, বাবা বাইরে কাজ করেন।

আমরা মা-বাবার কথা শুনে চলি, তাদের সাহায্য করি। কখনো খারাপ ব্যবহার করি না। আমরা যদি পড়াশোনায় ভালো করি, তাহলে তারা খুশি হন।

মা-বাবা আমাদের জীবনের আশীর্বাদ।
তাদের ভালোবাসা ও সম্মান করা আমাদের কাজ।

মাতা-পিতার প্রতি কর্তব্য রচনা — ৪র্থ শ্রেণি

মা-বাবা আমাদের সবচেয়ে আপন মানুষ। তারা আমাদের ভালোবাসেন, খাওয়ান, পড়ান এবং বড় করে তোলেন। মা ঘরের সব কাজ করেন। বাবা বাইরে কাজ করে টাকা রোজগার করেন।

আমরা যা কিছু চাই, মা-বাবা তা দিতে চেষ্টা করেন। তারা কখনো আমাদের কষ্ট দেন না। আমাদেরও উচিত, তাদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা করা।

আমরা যেন মা-বাবার কথা শুনি, তাদের কষ্ট না দিই। ঘরের ছোটখাটো কাজে সাহায্য করা আমাদের কাজ। মা-বাবা অসুস্থ হলে তাদের পাশে থাকা উচিত।

মা-বাবার দোয়ায় জীবন সুন্দর হয়।
তাই আমাদের সবসময় তাদের কথা মানা উচিত।

মাতা-পিতার প্রতি কর্তব্য রচনা — ৫ম শ্রেণি 

মাতা-পিতা আমাদের জীবনের প্রথম শিক্ষাগুরু। তারা আমাদের জন্ম দেন, লালন-পালন করেন, ভালো শিক্ষা ও আদর্শ মানুষ হওয়ার শিক্ষা দেন। মা আমাদের যত্ন নেন, খাওয়ান, গোসল করান ও সবসময় পাশে থাকেন। বাবা পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করেন এবং আমাদের চাহিদা পূরণ করেন।

আমরা যখন অসুস্থ হই, তখন মা-বাবা আমাদের পাশে থেকে সেবা করেন। ছোট ছোট খুশির জন্যও তারা কত কিছু করেন! তাই আমাদের কর্তব্য হলো— তাদের প্রতি সম্মান, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা দেখানো।

আমরা যদি নিয়মিত পড়াশোনা করি, আদবকায়দা মেনে চলি, ভালো ব্যবহার করি, তাহলে মা-বাবা খুশি হন। আমরা তাদের কাজে সাহায্য করতে পারি, বিশেষ করে যখন তারা অসুস্থ বা ক্লান্ত থাকেন। কখনো খারাপ ব্যবহার করা যাবে না, আর জোরে কথা বলাও উচিত নয়।

মাতা-পিতার দোয়া জীবনে সফলতার চাবিকাঠি। তারা সন্তুষ্ট হলে আল্লাহও সন্তুষ্ট হন। তাই জীবনে চলার পথে আমাদের সবচেয়ে বড় কর্তব্য হলো— মাতা-পিতাকে ভালোবাসা ও সেবা করা।

উপসংহার

মাতা-পিতা আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ। ছোটবেলা থেকেই যদি আমরা তাদের শ্রদ্ধা করতে শিখি, তাহলে ভবিষ্যতে আমরা একজন ভালো মানুষ হতে পারব। স্কুলে, বাড়িতে ও সমাজে ভালো আচরণ করাই মা-বাবার প্রতি আমাদের আসল কর্তব্য।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url