বাংলাদেশের নদ-নদী রচনা – Class 5, 8 ও 10 | সহজ ভাষায়
প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমাদের জন্য সহজ ভাষায় “ বাংলাদেশের নদ-নদী” রচনাটি তৈরি করেছি। এই রচনাটি ক্লাস ৫ থেকে ১০ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত এবং পরীক্ষায় ফুল মার্ক পাওয়ার মত করে লেখা হয়েছে।
বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। অসংখ্য নদ-নদী আমাদের দেশের জীবন, সংস্কৃতি ও অর্থনীতির সাথে গভীরভাবে জড়িত। নিচে পঞ্চম, অষ্টম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী রচনা দেওয়া হলো। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সহজেই এগুলো মুখস্থ করতে পারবে।
বাংলাদেশের নদ-নদী রচনা – Class 5-এর জন্য
ভূমিকা
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এখানে অনেক নদ-নদী আছে। নদী আমাদের জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধান নদ-নদী
বাংলাদেশে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, তিস্তা, সুরমা, কপোতাক্ষ ইত্যাদি বড় বড় নদী আছে। এসব নদীর পানি আমাদের উপকার করে।
নদীর উপকারিতা
নদীর পানি দিয়ে ধান, পাট ও শাকসবজি চাষ হয়। নদী থেকে আমরা মাছ পাই। নৌকায় করে নদীপথে মালপত্র আনা-নেওয়া করা যায়। নদী আমাদের দেশের সৌন্দর্য বাড়ায়।
নদীর সমস্যা
অনেক নদী দখল আর দূষণের কারণে নষ্ট হচ্ছে। বর্ষায় বন্যা হয় এবং শীতে পানি শুকিয়ে যায়।
উপসংহার
নদী আমাদের দেশের সম্পদ। তাই আমাদের নদীকে ভালোবাসতে হবে এবং রক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশের নদ-নদী রচনা – Class 8-এর জন্য
ভূমিকা
বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। অসংখ্য নদ-নদী এ দেশকে বেষ্টন করে আছে। নদী আমাদের জীবনের সাথে গভীরভাবে জড়িত।
প্রধান নদ-নদী
বাংলাদেশে প্রায় ৭০০টি নদী রয়েছে। এর মধ্যে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, তিস্তা, সুরমা, কপোতাক্ষ, কর্ণফুলি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। নদীর পানি মাটিকে উর্বর করে তোলে এবং মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করে।
নদীর উপকারিতা
নদীর পানি দিয়ে ফসল উৎপাদন হয়। নদীর পলি মাটি উর্বর করে। নদী থেকে মাছ ধরা হয়, যা আমাদের খাবারের বড় উৎস। নদীপথে পণ্য পরিবহন সহজ হয়। নদী আমাদের দেশের সৌন্দর্যও বাড়িয়ে দেয়।
নদীর সমস্যা
বর্তমানে অনেক নদী দখল ও দূষণের কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বর্ষায় বন্যা এবং শীতে পানি শুকিয়ে যাওয়া একটি বড় সমস্যা।
করণীয়
নদী দখল ও দূষণ বন্ধ করতে হবে। নদীর পানি পরিষ্কার রাখতে সচেতন হতে হবে। সরকার ও জনগণকে একসাথে কাজ করতে হবে।
উপসংহার
নদী বাংলাদেশের প্রাণ। নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে। তাই আমাদের সবাইকে নদী রক্ষায় সচেষ্ট হতে হবে।
বাংলাদেশের নদ-নদী রচনা – Class 10-এর জন্য
ভূমিকা
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত। অসংখ্য নদ-নদীর বেষ্টনিতে ঘেরা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। নদী আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কৃষি, মৎস্য, যোগাযোগ, বাণিজ্য, এমনকি সংস্কৃতিতেও নদীর অবদান অপরিসীম।
বাংলাদেশের প্রধান নদ-নদী
বাংলাদেশে প্রায় ৭০০-র বেশি বড় ও ছোট নদ-নদী আছে। এর মধ্যে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা প্রধান তিনটি নদী। পদ্মা, যমুনা, সুরমা, তিস্তা, ধলেশ্বরী, কর্ণফুলি, কপোতাক্ষ, আড়িয়াল খাঁ ইত্যাদিও উল্লেখযোগ্য। এসব নদী শীতল পানি ও উর্বর পলি বয়ে এনে বাংলাদেশের মাটিকে উর্বর করেছে।
নদীর উপকারিতা
বাংলাদেশের কৃষির মেরুদণ্ড হলো নদী। নদীর পলি জমে উর্বর মাটি তৈরি হয়, যা ধান, পাটসহ নানা ফসল উৎপাদনে সহায়তা করে। নদী থেকে প্রচুর মাছ ধরা হয়, যা আমাদের প্রোটিনের চাহিদা মেটায়। নদীপথে সহজে পণ্য পরিবহন ও বাণিজ্য পরিচালনা করা যায়। তাছাড়া নদী আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পর্যটনের অন্যতম উৎস।
নদীর সমস্যা
অসংযত চর জাগা, নদী ভাঙন ও দখল, শিল্প বর্জ্য এবং দূষণের কারণে অনেক নদী আজ বিলুপ্তির পথে। বর্ষাকালে বন্যা এবং শুষ্ক মৌসুমে পানি সংকটও নদীর বড় সমস্যা।
করণীয়
নদী বাঁচাতে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। নদী দখল ও দূষণ রোধে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে ড্রেজিং ও পুনঃখনন প্রয়োজন।
উপসংহার
বাংলাদেশের প্রাণ হলো নদী। নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে। তাই আমাদের সবার উচিত নদী রক্ষায় একসাথে কাজ করা। নদীমাতৃক বাংলাদেশের ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।