আমার জীবনের লক্ষ্য রচনা – ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শ্রেণির জন্য
এই তিনটি রচনার মাধ্যমে শিশুরা নিজ নিজ স্তরে চিন্তাভাবনা শিখবে, ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বপ্ন দেখবে, এবং লক্ষ্য ঠিক করে তা অর্জনের জন্য চেষ্টা করতে উৎসাহ পাবে।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমাদের জন্য সহজ ভাষায় “আমার জীবনের লক্ষ্য” রচনাটি তৈরি করেছি। এই রচনাটি ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত এবং পরীক্ষায় ফুল মার্ক পাওয়ার মত করে লেখা হয়েছে।
🌼 আমার জীবনের লক্ষ্য রচনা তৃতীয় শ্রেণির জন্য
প্রতিটি মানুষের জীবনে একটি লক্ষ্য থাকা দরকার। আমারও একটি লক্ষ্য আছে। আমি বড় হয়ে একজন ডাক্তার হতে চাই।
ডাক্তার মানুষকে ভালো করে তোলে। অসুস্থ মানুষের সেবা করে। আমি গরিব ও অসহায় মানুষদের চিকিৎসা করতে চাই। তাদের বিনা পয়সায় ওষুধ দিতে চাই।
ডাক্তার হতে হলে মন দিয়ে পড়াশোনা করতে হয়। আমি নিয়মিত স্কুলে যাই, পড়া করি এবং শিক্ষকদের কথা শুনি।
আমি আমার মা–বাবা ও দেশের সেবা করতে চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন আমি আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি।
🌼 আমার জীবনের লক্ষ্য রচনা চতুর্থ শ্রেণির জন্য
প্রত্যেক মানুষের জীবনে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকা উচিত। লক্ষ্য ছাড়া জীবন অন্ধকারের মতো। আমি ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখি বড় হয়ে একজন শিক্ষক হব।
শিক্ষক হওয়া একটি মহান পেশা। শিক্ষকরা আমাদেরকে শিক্ষা দেন, ভালো মানুষ হতে শেখান। আমি চাই গরিব ও গ্রামের ছেলেমেয়েদের পড়াতে, যেন তারাও মানুষ হতে পারে।
আমি নিয়মিত পড়াশোনা করি এবং সৎ পথে চলার চেষ্টা করি। মা–বাবা ও শিক্ষকরা আমাকে অনেক সাহায্য করেন। আমি তাদের কথা মেনে চলি।
আমি জানি শিক্ষক হতে হলে অনেক অধ্যবসায় করতে হয়। আমি মন দিয়ে পড়াশোনা করে আমার লক্ষ্য পূরণ করতে চাই। একদিন আমি একজন আদর্শ শিক্ষক হব এবং দেশের জন্য কাজ করব।
🌼 আমার জীবনের লক্ষ্য রচনা পঞ্চম শ্রেণির জন্য
প্রত্যেক মানুষের জীবনে একটি সঠিক লক্ষ্য থাকা প্রয়োজন। লক্ষ্য ছাড়া জীবন নদীর মতো, যার কোনো গন্তব্য নেই। আমার জীবনের লক্ষ্য হলো একজন ডাক্তার হওয়া।
আমি ছোটবেলা থেকেই দেখেছি অনেক গরিব মানুষ চিকিৎসার অভাবে কষ্ট পায়। অনেকেই ভালো ডাক্তার পায় না বলে অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকে। তখনই আমি ভাবি, বড় হয়ে আমি একজন ভালো ডাক্তার হব। আমি গরিব ও অসহায় মানুষের বিনা পয়সায় চিকিৎসা করব।
ডাক্তার হতে হলে ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হয়। আমি এখন থেকেই নিয়মিত পড়ি এবং স্কুলে মনোযোগ দিই। আমি বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে ভালো করার চেষ্টা করি।
আমার মা–বাবা ও শিক্ষকরা আমাকে সবসময় উৎসাহ দেন। তারা চান আমি যেন একজন ভালো মানুষ হই। আমি জানি শুধু ডাক্তার হলেই হবে না, তার আগে ভালো মন ও সততা থাকতে হবে।
আমি দেশের মানুষের সেবা করতে চাই। আমার লক্ষ্য শুধু নিজের ভালো থাকা নয়, বরং অন্যের উপকার করা। আমি বিশ্বাস করি, পরিশ্রম করলে কোনো লক্ষ্যই কঠিন নয়। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আমি আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি।